আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম এর বিস্তারিত আলোচনা।
- Get link
- X
- Other Apps
"তাউজ" (تَعَوُّذ) বলতে আমরা যেটিকে বুঝি, সেটি হলো আউযুবিল্লাহ বলা—অর্থাৎ আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
এটি কুরআন তেলাওয়াতের আগে, দোয়া করার আগে, কিংবা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য বলা হয়।
১. তাউজের সংজ্ঞা
তাউজ আরবিতে বলা হয়:
التَّعَوُّذُ — যার অর্থ "আশ্রয় প্রার্থনা করা"।
এটি মূলত নিম্নলিখিত বাক্যটি বলা:
أَعُوذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: আ'উযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বা-নির রওযীম
অর্থ: আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
২. কুরআনের দলিল
আল্লাহ তাআলা বলেন—
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: ফা ইযা ক্বোরাআতাল কুরআ-না ফাস্তা'ঈয বিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বা-নির রওযীম
অর্থ: যখন তুমি কুরআন পাঠ করবে, তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো।
(সূরা নাহল ১৬:৯৮)
৩. উদ্দেশ্য ও উপকারিতা
তাউজ পড়ার মূল উদ্দেশ্য—
- শয়তানের কুমন্ত্রণা ও ফাঁদ থেকে বাঁচা
- মনোযোগ ও খুশূ নিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করা
- ইবাদত ও নেক কাজে মনোযোগ ধরে রাখা
- রাগ, হিংসা, কুমন্ত্রণা, খারাপ চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া
৪. কোন কোন সময় বলা হয়
হাদীস ও আলেমদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী তাউজ বলা হয়—
- কুরআন তেলাওয়াত শুরু করার আগে
- রাগ হলে (সহীহ বুখারী ৩২৮২)
- নামাজে সূরা ফাতিহার আগে (কিছু মাযহাবে, বিশেষত হানাফিতে)
- কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখে জেগে উঠলে
- কোনো খারাপ চিন্তা এলে
- শয়তানের প্ররোচনা অনুভব করলে
৫. বিভিন্ন তাউজের দোয়া
সবচেয়ে প্রচলিত:
أَعُوذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
আরেকটি পূর্ণ রূপ:
أَعُوذُ بِاللّٰهِ السَّمِيعِ العَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
অর্থ: আমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।
৬. হানাফি মাযহাবের মতামত
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী—
- কুরআন তেলাওয়াতের শুরুতে তাউজ পড়া ওয়াজিব ।
- নামাজের শুরুতে (সানা পড়ার পরে) তাউজ পড়া সুন্নত।
- জোরে পড়া নামাজে ইমাম তাউজ চুপচাপ পড়বেন, জোরে নয়।
৭. বাস্তব উপকার
তাউজের নিয়মিত আমল করলে—
- মনের অস্থিরতা কমে
- কু-চিন্তা ও খারাপ প্রভাব দূর হয়
- আল্লাহর সুরক্ষা লাভ হয়
- ইবাদতে মনোযোগ বাড়ে
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment